বড়ো কষ্ট হয়
কুদরত রাহমান
বড়ো কষ্ট হয়, যখন দেখি
মানুষ মানুষকে চিনতে ভুল পথে যায়,
সেই ছোট্ট শিশু মাইয়া পারুলের লাশ কাঁধে করা
সন্ধ্যায় ভুল করে ফুটবল ভাইবা ইটে লাথি মারা
মারপিট খাওয়া ভান করা আধা মত শৃগাল দৌড়
দেখেও ক’জন রেখেছে মনে মানবিক কর্ম গুলো,
সেদিন পারুলের মায়ের আকাশ কাঁপানো কান্না
বিল্টুর আঙ্গুল ফাইটা রক্ত ঝরার চিকিৎসা সেবা
কেউ মনে রাখেনি লটকনের মতো ফল মনে রাখা
খুব কষ্ট হয় ভাতের অভাবে সেজুতির মাকে দেখা
লক্ষন নামের জেলেপাড়ার লোকটা অনাহারে ছিলো
কেউ পাশে ছিলো না, যে ছিলো তাকে চিনেনা ওরা
ভিটেমাটি ছাইড়া রাস্তায় নামা লোকটা মাথা গুঁজে
সেখানে যে অবতার হিসাবে উপস্থিত ছিলো বুঝে
এইসব মানুষ গুলানরে খুঁজে না বুঝেনা মূল্যহীন
চাটাম গল্পের কাঁঠাল তেছপাতা পড়ুয়া কিছু লোক
হেরা নাহি সমাজ গড়িবে ভাইবা অবাক হয় পঙ্গু
কে জীবন বাজি রেখে মানুষ বাঁচাতে এগিয়ে যায়
বাহবা আর কিছু বকশিস দিয়া কান্টু মাতবর হয়
কষ্ট হয় বড়ো কষ্ট ওগো বোঝাতে গিয়ে অক্কা যায়
প্রোফেসর সামসু মিয়ারে কেউ মনে রাখেনি ওরা
মোমবাতির মতো জ্ঞান বিলানো লোকটা অথর্ব,
শেখেনি কথা বক্তৃতা করতে ঠেলে উঠে মঞ্চে
চোরের বিচার করে ডাঙ্গি পাড়ার চোরা ভোঞ্চে
কাকে ভালো বলি আসলে ভালো চেনার চোখ কই
বড়ো কষ্ট হয় কবে যে মানুষ মানবতার পক্ষে যাবে,
তবুও খুঁজি তোদের মাঝে মনুষ্যত্ব বিবেক বুদ্ধি শান্ত
যতদুর অপেক্ষা করা ততদূর অপেক্ষা কষ্টের শেষ প্রান্ত।
আরও পড়ুন
কুদরত রাহমান এর কবিতা / মানবতা
See more
No Comments