সুস্থ্য থাকা মানেই আপনি একজন সুখী মানুষ ।
সুস্থ্য জীবন সবসময় দীর্ঘ জীবন লাভ করার একমাত্র উপায়।
সুষম খাদ্য গ্রহণ করা এবং কেমিক্যাল মিশ্রিত খাবার পরিত্যাগ করা, এবং প্রসেস ফুড বর্জন করাটা সুস্থ্য থাকার প্রথম শর্ত।
পরিমাণ মতো প্রতিদিন বিশুদ্ধ পানি পান করতে হবে।
অবশ্যই আপনাকে একটি সাপ্তাহিক খাবারের তালিকা প্রস্তুত করতে হবে।
সপ্তাহের কোন দিনে কি কি খাবার খেতে হবে সেটা জোগাড় করতে হবে। সাধ্য এবং সামর্থ্যের মধ্যেও ভালো মানের খাবার সংগ্রহ করা যায়।
মাছ,মাংস, দুধ, ডিম, ঘি, মাখন, খাওয়া উচিৎ, কিন্তু পরিমিত পরিমাণ হতে হবে।
শাকসব্জী খেতে হবে, প্রতিদিন একবার হলেও। এছাড়াও কাঠ বাদাম, কাজু বাদাম, চীনা বাদাম আপনার খাদ্য তালিকায় রাখা উচিৎ।
খাদ্য তালিকায় মৌসুমি ফল রাখতে হবে। ছোটবেলা থেকে আমরা অভিভাবকদের দেয়া খাদ্য তালিকা দ্বারা অভ্যস্ত হয়ে পড়ি।
অভিভাবকদের উচিৎ শিশু কিশোরদের খাদ্যের দিকে বেশী করে যত্ন নেয়া, এবং তাদেরকে খাদ্য সম্বন্ধে সচেতন করে গড়ে তোলা।
প্রতিদিন নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে।
কর্ম জীবন যাদের কায়িক পরিশ্রম কম হয়, তাদেরকে অবশ্যই সারাদিনে কাজ বা লেখাপড়ার ফাঁকে কিছুটা ব্যায়াম করতে হবে।
ব্যায়াম শরীরের রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক করে, রক্তনালী পরিস্কার রাখে, মাংসপেশি মজবুজ করে, হাড় বা অস্থিকে মজবুত করে।
ব্যায়াম হার্ট, লাঞ্চ, ব্রেইন, এবং নার্ভাস সিস্টেমকে সচল এবং উন্নত করে।
শরীরের ক্ষতিকর পদার্থ বের করার জন্যে ব্যায়ামের বিকল্প নাই।
নিয়মিত হাঁটা বাই সাইকেল চালানো, দৌরঝাঁপ হয় এমন ধরনের খেলাধুলা করাও ব্যায়ামের অংশ।
শরীরের বিভিন্ন সিস্টেম যেমন রক্ত সঞ্চালন, মাংসপেশি, হাড়, শ্বাস প্রশ্বাসের উন্নতির জন্য আলাদা ধরনের ব্যায়াম করা যায়।
অনুমান বা আন্দাযে ব্যায়াম করা ঠিক নয়, ব্যায়াম সম্বন্ধে ধারণা নিতে হবে, হালকা প্রশিক্ষণ নিয়ে নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে।
যাহারা শহরে বসবাস করে থাকেন, তাদেরকে সবুজ বৃক্ষের তলে মাঝেমধ্যে যেতে হবে।
খালিপায়ে সবুজ ঘাসে হাঁটার অভ্যাস রাখাটা জরুরী।
আপনি যে ধর্মের অনুসারীই হোন না কেনো, প্রার্থনা করুন, মহান সৃষ্টিকর্তার নিকট।
সুস্থ্য থাকুন দীর্ঘায়ু লাভ করুন, একটি সুশৃঙ্খল জীবন গড়ে তুলুন, তাহলেই আপনি একজন সুখী মানুষ।
আরও পড়ুন
See more and please read
No Comments