অপার সম্ভাবনার সোনার বাংলাদেশে, মাদক কেনো থাকবে?
যেভাবেই হোক বাংলাদেশের অলিতে গলিতে গ্রামে গঞ্জে পাড়া মহল্লায় মাদক ঢুকেছে।
প্রশাসনের জিরো টলারেন্স কার্যক্রমে মাদক নির্মুল হবে, এটা আমরা বিশ্বাস করি।
জঙ্গি দমনে আমাদের দেশের প্রশাসন অনেক দূরদর্শীতার পরিচয় রেখেছে, প্রশাসনের এই ধরনের সফলতা দেশ বিদেশে প্রশংসা অর্জন করেছে।
এবার মাদক আর দুর্নীতি বিরোধী অভিযান চলছে। আশার আলো দেখা যায়, অনেকাংশেই সফলতা আসবে।
আমাদের বাঙ্গালি চরিত্র ও স্বভাবে, বিপ্লব আছে, সংগ্রাম আছে।
আমি একটা বাস্তবতা ও বিদ্যমান স্বভাবের কথা বলছি, গ্রামে, পাড়ায় বা মহল্লায় হঠাৎ একটা বিষধর সর্প দেখলে,
যার হাতের কাছে যা কিছু আছে, লাঠিসোটা, ফালা, দা, কাছি, ইট পাটকেল, বাঁশ কিম্বা ঝাঁপের লাঠি সেটা দিয়ে হৈচৈ করে সঙ্গ বদ্ধ হয়ে সাপটিকে হত্যা করা হয়।
এই সাপটিকে হত্যা করতে যারা অংশ নেয়, তারা ফিরেও দেখেনা কে কোন দলের, কে কোন জাতির, নারী না পুরুষ, গরীব না ধনী।
সাপটিকে মেরে মৃত্যু নিশ্চিত করে উল্লাস করা হয়, তারপর, যাতে দুর্গন্ধ না ছড়ায় সে জন্যে পুড়িয়ে ফেলা, বা মাটিতে পুতে ফেলা হয়।
এমন একটা কাজ করতে কারও হুকুম, মিছিল, মিটিং প্রয়োজন হয়না।
এখানে একটায় বোধ সাপটি আমাদের দুশমন, ওকে দমন না করলে, আমাদের ক্ষতি করতে পারে।
এইবার আসি মাদকের কথায়, এ দেশের মানুষ যদি জানতো এই ইয়াবা, হিরোইন, ফেন্সিডিল, সাপের বিষের চেয়েও মারাত্বক।
সাপে কামড়ালে তাৎক্ষণিক মৃত্যু, আর ইয়াবা গং কামড়ালে একসঙ্গে দুই তিন বা ততোধিক ব্যক্তির মৃত্যু অনিবার্য।
বাস্তব উদাহরণ, পুলিশ অফিসারের কন্যা ঐশী, নিজে শেষ হয়েছে, নিজ বাবা মাকেও খুন করেছে।
চিত্র অভিনেতা এ,টি,এম,শামসুজ্জামান এর পুত্র তার আর এক পুত্রকে হত্যা করে নিজেও জেলে পচে মরছে, পুরো সংসারটাকে বিষের জ্বালাতে জর্জরিত করে দিয়েছে।
কয়জন মানুষ জানে এসব ঘটনা। মাদকের ভয়াবহতা সম্পর্কে বেশিরভাগ মানুষ বিস্তারিত জানেনা।
জানলে সাপকে মারার মত মানুষকে গণধোলাই দিতে আর মাদকদ্রব্যকে নিশ্চিৎ জাহান্নামে পাঠাতে একবিন্দু কার্পণ্যতা করতোনা।
তাই আমাদের উচিৎ, অপারেশন এর পাশাপাশি প্রতিটি পাড়ায়, মহল্লায়,উঠান বৈঠক, পথনাটক, নাটিকা, নাটক, কবিগান, প্রদর্শন করা।
মাদক গ্রহণ করায় ভুক্তভোগী অসুস্থ্য, শারীরিক ক্ষীণ বা মৃত্যু পথযাত্রীদের সাক্ষাৎকার ভিত্তিক ভিডিও চিত্র প্রদর্শন করা।
এক্ষেত্রে দেশের তৃণমূল পর্যায়ের কবি, সাহিত্যিক, গায়ক, গায়িকা, অভিনেতা, অভিনেত্রীদের অনায়াসে কাজে লাগানো যায়।
দুর্নীতি, বাল্যবিবাহ, ইভটিজিং,বেকারত্ব, শিশুশ্রম রোধের বিষয়েও একই পন্থা অবলম্বন করা যায়।
এদেশে কর্ম ক্ষেত্রের অভাব নাই। তবুও লক্ষলক্ষ বেকারে দেশ ছেয়ে যাচ্ছে।
সরকারি চাকুরি আর বিদেশ যাওয়ার নেশায় উন্মত্ত হয়ে, হাজার হাজার ছেলেমেয়ে
টাকা পয়সা, জায়গা জমি হারিয়ে, দিশেহারা হয়ে দুশ্চিন্তা দূর করার উপায় হিসাবে মাদকের পথে হাঁটছে, অপরাধ জগতে অনুপ্রবেশ করতে দ্বিধাবোধ করছেনা।
তাই বেকারত্ব আমাদের অভিশাপ মনে রেখে এর সমাধান করতেই হবে। ( চলমান)
আরও পড়ুন
See more and read more
No Comments