কিভাবে দাঁতের যত্ন নিবেন

কথায় আছে দাঁতের সাথে আঁতের সম্পর্ক।

আপনার দাঁত আপনার সম্পদ। আমাদের পুর্বপুরুষের ইতিহাস জেনে দেখুন, ১০০ বৎসর বয়সেও তাদের দাঁত সুস্থ্য থাকতো।

জানতে হবে কিভাবে তারা দাঁতের যত্ন নিতেন?

বিভিন্ন ধরনের টুথপেষ্ট বাজারে আসার পূর্বে, বাংলাদেশের মানুষ, নিম গাছের চিকনা ডাল, আমের ডাল, খেজুরের ডাল

আষ্টেলির ডাল, পোড়ামাটি, কয়লা ইত্যাদি দিয়ে দাঁত মাজতো, এবং মেছহাক করতো।

তারপরও তাঁদের দাঁত থাকতো লোহার মতো মজবুত। তবে নিমের ডাল দিয়ে মেছহাক করার উপকারিতা ছিলো বেশি।

এখন বিজ্ঞানের যুগে এসেও, দাঁতের সমস্যায় ভুগছে লক্ষ লক্ষ মানুষ।

বিভিন্ন কেমিক্যাল মিশ্রিত টুথপেষ্ট বা পাউডার ব্যবহার করার জন্যে দাঁতের এনামেল নষ্ট হচ্ছে, পাশাপাশি নানাবিধ কেমিক্যাল মিশ্রিত খাবার, পান জর্দা, ধুমপানের কারণে দাঁত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

দাঁতের যত্ন নিতে কি কি করা উচিত?

প্রথমেই কেমিক্যাল মিশ্রিত খাবার বর্জন করতে হবে।

অতিরিক্ত ঠান্ডা খাবার খাবেন না। ফ্রিজের কোল্ড বা ঠাণ্ডা খাবার অথবা পানীয় পান করবেন না।

অতিরিক্ত গরম খাবার খাবেন না। চা বা কফি একটু ঠান্ডা করে পান করবেন।

প্রতিদিন অন্তত একবার, কুসুম কুসুম গরম পানি, দিয়ে কুলি করুন এবং গড়গড় করুন।

পেয়ারার কচি পাতা সিদ্ধ করে, কুসুম কুসুম গরম থাকা নির্যাস দিয়ে কুলি করলে দাঁত মজবুত হয়।

ভুল করেও বেশী শক্ত হাড্ডি চিবাবেন না। তাতে আপনার দাঁত ভাঙ্গার ঝুঁকি থেকে যায়।

চুইংগাম বা আঠাযুক্ত খাবার খাওয়া উচিত নয়। যদি এই ধরনের খাবার খেয়ে থাকেন, দ্রুতই দাঁত পরিষ্কার করে ফেলবেন।

সপ্তাহে অন্তত একদিন, Viodin, Arodin, Povisef মাউথ ওয়াশ লোশন দিয়ে কুলি করলে খুবই উপকার হয়।

প্রতিদিন কমপক্ষে দুবার দাঁত ব্রাশ করার অভ্যাস করুন। সেক্ষেত্রে ভালো মানের সফট ব্রাশ ব্যবহার করবেন।

বাজারে বিভিন্ন ধরনের টুথপেষ্ট পাওয়া যায়। কেমিক্যাল মুক্ত অর্গানিক টুথপেষ্ট ব্যবহার করতে ভুলবেন না।

খাদ্যাভ্যাস দাঁতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ

ছোট মাছ, সামুদ্রিক মাছ, তরতাজা শাকসবজি, টমেটো, আঙ্গুর ফল, কাঠ বাদাম, কাজু বাদাম, চীনা বাদাম, আমলকী ফল, খেজুর ইত্যাদি দাঁত মজবুত করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।

যে সকল খাবারে ভিটামিন সি, ই, ডি এবং এন্টি অক্সিডেন্ট আছে সে সকল খাবার পরিমিত পরিমাণ খেতে হবে।

অতিরিক্ত টক ফল যেমন তেঁতুল, কামরাঙ্গা, টক আম সরাসরি দাঁতের সংস্পর্শে আনিয়া খাওয়া ঠিক নয়।

চেকআপ এবং চিকিৎসকের পরামর্শ

সুস্থ অবস্থায় থাকলেও এবং দাঁতে কোনো সমস্যা না হলেও বৎসরে একবার অভিজ্ঞ চিকিৎসক দ্বারা দাঁতের চেকআপ বা পরীক্ষা করানো উচিত।

কারণ দাঁতের সমস্যা হঠাৎ করে দেখা দেয়না, অযত্ন অবহেলায় দাঁতে মনের অজান্তে রোগ সৃষ্টি হতে পারে।

তাই ডাক্তার এর পরামর্শ নিয়ে চললে দাঁত সুরক্ষা পেতে পারে।

সবসময় মনে রাখতে হবে, স্বাস্থ্যের জন্য দাঁত খুবই গুরুত্বপূর্ণ অরগ্যান।

দাঁত অসুস্থ হলে, খাদ্য খাবার খেতে কষ্ট হয়, ফলে দাঁতের কারণে শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা এবং শরীর খারাপ হতে পারে।

সেজন্যেই কথিত আছে, দাঁতের সঙ্গে আঁতের সম্পর্ক।

আরও পড়ুন

ড্রাগন ফল খেলে কি উপকার হয়, জেনে নিন

See more and read more

http://howsbd.wordpress.com