মেকি সভ্যতা
কুদরত রাহমান
মনুষ্যত্ব খুঁজে পাইনি সেই ছেলেটির কাছে
যাকে নিয়ে সেদিনও গর্ব করতে দেখেছি
পরিবার সমাজ সহ কতিপয় বুদ্ধিজীবীর মুখে
এক বিদায়ের ক্ষণে আসল চেহারাটা বুজেছি।
মাঝি পাড়ার কমল সরকার অবাক চিত্তে বলেই ফেললো
আমাদের মাঝ থেকে হৃদ্যতা হারিয়ে যাচ্ছে
বিলীন হয়ে যাচ্ছে সভ্যতা ভদ্রতা শালীনতা
অসভ্যতা বড়োকে ছোটো আর ছোটকে বড় বানাচ্ছে।
ধর্মের দোহাই আর পান্ডিত্যের মুখোশে হাম বড়েঙ্গা
কালচারটা অক্টোপাসের মতো জেঁকে বসেছে মগজে
যদিও ক্ষণস্থায়ী সাময়িক বেদনা বিধুর প্রয়োগ মাত্র
পরিণাম বা ফলাফল, বড়কে ছোটো করলে ছোট আরও ছোটো হবে, সময়ের পরিক্রমায়।
আরও পড়ুন
কুদরত রাহমান এর কবিতা
কুদরত রাহমান এর কবিতা /কাউকে ঠকাতে নেই
অস্বীকার
কুদরত রাহমান
স্বীকার অথবা অস্বীকার করাটা তোমার অভিরুচি, চিন্তা ও চেতনার অভিপ্রায়,
বলতেই পারো, তোমার বড়ো বোনটা তোমার কেউ নয়, বড় ভাইটা কেউ নয়,
তাতে তোমার ভাই বা বোনের কিচ্ছুই যায় আসেনা, সৃষ্টিকর্তা যাকে বড়োর মর্যাদা দেয়,
তাদের বা তাকে যত অবহেলা বা অস্বীকার করো না কেনো, বাস্তবতা হচ্ছে বড়ো বড়োই থেকে যায়।
ছোটর আসনে থেকে নিজেকে বড়ো বলে জাহির করতেই পারো, এটা তোমার অহংকার,
সময়ের পরিক্রমায় একদিন বড়োর পায়ের নিচে তোমাকে পড়তেই হবে এটা কালের বিচার,
মানুষকে সন্মান করলে, নিজের সন্মান কমেনা বরং বড়দের আশীর্বাদ তোমাকে সন্মানিত করবে,
মনে রেখো, অহংকার একটি ভয়ংকর রকমের রোগ, যাহা ক্যানসারের চেয়েও দ্রুত তোমাকে মারবে,
বিশ্বাস করো আর নাইবা করো, পৃথিবীতে কোনো কিছু স্থায়ী নয়,স্থায়ী শুধু সুন্দর এবং সত্যতা,
তাই বলি, তুমি যে অবস্থানেই থাকো, ভালোকে ভালো, আর মন্দকে বলতে শিখো এটাই সভ্যতা।
৫ নভেম্বর ২০২৪। সকাল ৭ঃ৫৬। আলোকদিয়া।
1 Comment