ব্যাথা
কুদরত রাহমান
আঘাত পেলে ব্যথা পাবে, এটাই স্বাভাবিক, কতটা আঘাত কেমন আঘাত কোথায় আঘাত, সেটা নিয়েই ব্যথার তীব্রতা, শরীরের যে অঙ্গ অথবা প্রত্যঙ্গ আঘাত প্রাপ্ত হলে কষ্ট পাবে চিকিৎসা প্রলেপ দিলে ধীরে সুস্থে ব্যাথা নিরাময় লাভ করে, কখনো কখনো অঙ্গ ছেদ বা বাদ দিলেও ব্যাথা চলে যাবে কিন্তু এমন কিছু ব্যাথা আছে তাহাযে খবই মারাত্মক রোগ, এমন ভাবে মানুষ মানুষকে ব্যাথা দিয়ে থাকে যাহা আড়াল অথচ হৃদয়ের গভীরে গিয়ে লাগে, যে যন্ত্রণা দেখানো যায়না।
ব্যাথার তীব্রতা এতোদূর হতে পারে মৃত্যুর পুর্ব মুহূর্তেও ব্যাথাতুর মানুষ তাহা ভুলতে পারেনা, হতে পারে তাহা খোটা, অথবা মারাত্বক গালি অথবা আক্রমনাত্মক অশ্রাব্য ভাষা যাহার তীব্র বেদনায় মানুষ এতটাই অসুস্থ হতে পারে অবর্ণনীয়, ধীরে ধীরে পৃথিবীর প্রতি ঘৃণা জন্ম দিয়ে নিজেকে আলাদা অন্য জগতের মানুষের রূপে বসবাস, অথবা মস্তিষ্ক বিকার, এমনকি আত্মহত্যার পথ বেছে নেওয়ার সিদ্ধান্তে অটল প্রচন্ড অস্বাভাবিক আচরণে প্রতিশোধ নিতে উম্মাদ মরিয়া, এমন ব্যাথা মানুষ হয়ে মানুষকে দেয়া উচিত নয়, কেউ কেউ তবুও দিয়ে থাকে অহংকার দেমাক বা অর্থের অসহ্য উত্তাপে, এমন ব্যাথাতুর মানুষের বেদনা কেউ বুঝুক আর না বুঝুক যন্ত্রণায় কাতর মানুষটি কারো করুণার অপেক্ষা করেনা, ভাবনার আকাশে সমাধান খুঁজতে গিয়ে সৃষ্টিকর্তার সমীপে বিচার প্রার্থনা করতে থাকে, আর নিজে হয়ে যায় নিঃশেষ।।
এমন আঘাত তোমরা কাউকে দিওনা, যে আঘাত পেয়ে মানুষ তোমাকে অমানুষ ভাবে আর যন্ত্রণায় অভিশাপ দেয়।
আরও পড়ুন
কুদরত রাহমান এর কবিতা / জানতে চাও কেমন আছি
See more and read more article
No Comments