জানতে চাও কেমন আছি
কুদরত রাহমান
সুবর্ণা জানতে চেয়েছিল কেমন আছি, শিমুলের মা বলেছিল খুব ভালো কেমন ভালো তাতো জানতে চাও, সকালে উনুন জ্বলেনি, চাল নেই শিমুর বাবা অসুস্থ কামে জায়না আজ সাত দিন, জ্ব্ররে প্রলাপ বকছে ওঘরে ফুঁফিয়ে কাঁদছে একমাত্র পোলা হিমু, স্কুলের বেতন বকেয়া একটু আগে পাওনাদার আইছিল, কিস্তির সাহেব, মেজাজ দেখালো ৷ বৃদ্ধা শ্বাশুড়ি দূর্বল গলায় বৌমা বৌমা ডাইকা ডাইকা নিশ্চুপ হইছে সকালের বাসিপান্তা শেষে ঔষধ কোনটাই মেলেনি আজ দুদিন, সুবর্ণার কন্ঠ করুণ হয়ে আসে, কান্না চেপে অস্পষ্ট বলতে চাইলো মা আমার মা, বৌদি দাদা তোমরা এতো কষ্টে আছো, হ্যাঁ রে সুবর্ণা কি করবো বল, সকাল থেকে এপাড়া ওপাড়া ঘুরেছি চাল জোটেনি ঔষধ কেনার টাকা নেই, মোবাইল ভিজছে চোখের জলে দু’প্রান্তে! এককাপড়ে দৌড়ে এসেছিলো, যেনো পড়ি কি মরি, সুবর্ণা হাঁপাচ্ছে কিছু চাল ডাল আর গুটিকয়েক টাকা, সাথে নয়ন ভরা জলের ঢল কিন্তু এভাবে আর কদিন বলো, বৌদি চোখের জল মুছে রান্নাঘরে।
আরও পড়ুন
কুদরত রাহমান এর কবিতা / উজাড় করে দিয়েছি
See more article
No Comments