উজাড় করে দিয়েছি
কুদরত রাহমান
সবইতো উজাড় করে দিয়েছি, যতটুকু ভালোবাসা ছিলো, উজাড় করে দিয়েছি , যতটুকু পাশে দাঁড়িয়ে সহযোগিতা করার ছিলো, করেছি, বিনিময়ে কিছুই চায়নি, যা দেবার উজাড় করে দিয়েছি। একমুঠো ভাত, একটু মাথা গোঁজার ঠাঁই খুঁজতে খুঁজতে হন্যে হয়ে, উদাসীন হয়ে, অর্ধ উম্মাদ হয়ে খুঁজেছি, পেয়েছিনু,কিন্তু কষ্টের তীব্র বেড়াজাল ডিঙ্গানো সম্ভব হয়নি। ওরা শুধু চায়, নিজেকে উজাড় করে দিয়ে, চন্দনা এখন করুণার পাত্র। নদীর মতো জীবন যাহার, তাহাকে সবাই শাসন করতে চায়।
নদী এখন স্বার্থপর দ্বারা শোষিত শাসিত। তবুও নদীটি মরেনি। ওর গতি রোধ হয়েছে। স্রোতের তীব্রতা কমে গেছে। আপনমনে চলা নদীর বুকে অনেক কষ্ট। কিন্তু নদীর ভাষা কেউ বোঝেনা। চর জাগলেই বেদখল হয়। চন্দনার সৃষ্টিতো স্বয়ং ঈশ্বর। উজাড় করে দেওয়া ছিলো ওর স্বভাব। আপনমনে চলা ছিলো তার চরিত্র।
কালের পরিক্রমায় চন্দনার মূল্য বুঝতে ভুলে গেছে যারা, তাদের জন্যই চন্দনা উজাড় ছিলো। শীতল জলে অবগাহন করে, ই পবিত্র হয়ে, সাধু সন্যাসীর দল, পরহেজগার কিম্বা বন্দেগি ওয়ালারা সবাই ভুলতে বসেছে, চন্দনাকে। অযাদের জানা আছে, বিশাল বিদ্যান তারা, ওরা জানে, চন্দনাকে বাঁচাতে হবে। ওরাও এখন স্বার্থের অন্ধকারে নিমজ্জিত, বোঝেনা জেনেও জানেনা, শুনেও শোনেনা, চন্দনা নদীর কান্না, চন্দনা যে তোদের জন্যই বাঁচতে চায়, ওযে তোদেরকে পুত পবিত্র করতে, সবকিছু উজাড় করে দিতে চায়।
চন্দনার ক্লান্তি নেই, না পাওয়ার যন্ত্রণা নেই। বাঁচাবে যারা তারাই উজ্জীবিত থাকবে।
বোবা নদী কথা বলেনা। তাই বলে শুধু অবহেলাই ওর প্রাপ্য? কখনও না, নদী চন্দনাকে বাঁচাও, মুখ থুবড়ে পড়া সকল জলাশয়কে বাঁচাও, সেইসাথে নদীর মতো নিবেদিত মানুষের পাশে দাঁড়াও, ওরা দিতে এসেছিলো এই ধরাধামে, কিছু নিতে নয়।
আরও পড়ুন
কুদরত রাহমান এর কবিতা / কেউ কারো নয়
See more and read more
Excellent