সমাজের বলী
কুদরত রাহমান
কথায় কথায় লাঠিপেটা, গৃহবন্দী দশা
জব্বর একখান চারদেয়ালের কারাগার
চম্পাকলি সেখানে বন্দী,দিন মাস বছর
চোখের কোণে সুরমা ছাড়াই ছাই দাগ
চুল গুলা ঝইরা যায়, কাঁকই ছোঁয়া ছাড়া
পুরুষের শাসন কারে কয়, হেতে জানছে
কানছে, রানছে, বাড়ছে, ভুগছে ব্যামোতে
চিৎকার কইরা আকাশ কাঁপাইয়া কইছে
আর কতো, আর কতোরে আল্লাহ, পারিনো
আন্নে আঁরে লইয়ে যান, আঁই বাঁচত চাই…
বাঁচা কি এত্তো সহজ, ছাইড়া আইচে হেত্তন
এহোনে শকুনের উপদ্রব, কুইড়া খাইবো
কাঁচা মাংসের দেহখান, শকুনিরা উসকায়
পোড়া কপালি ভরানাশী ঘরভাঙা কুলটা
পান চিগড়াইয়া মুখ ঝাঁহাইয়া কয় আর কয়
শুনতে শুনতে চম্পায় এহন ক্লান্ত, অবসন্ন
স্বপ্ন গুলান অবতি বা শুটকি ফলের নাহাল
চুপসে গেছে, কান্দনও আসেনা, পানি ঝরে
দুচোখের পাতা ভিইজা ভিইজা স্যাত স্যাঁত
আবার বিয়ার পয়গাম আসে, বুইড়ার লগে
ঘটক ব্যাটায় টাহা পাইবো বিয়া জমাইবো
বুইড়ার খায়েশ মিটবো, বলী হইবো আবার
হাতের পুতুল যেমন খুশী তেমন খেলাইবো
কেউ তাহারে ভালোবাইসা আদর কইরা
একটা কর্ম দিবোনা, প্রতিষ্ঠিত করবো না
শুনছি বলী দিবো আবার বলী দিবো
এ সমাজ এটাই পারে, অভাগী কি বাঁচবো
বাঁচতে হলে যুদ্ধ কইরা বাঁচতে হইবো
কতো চম্পাকলিরে ঝরতে দেখেছি, আজও
বলী দেখি, ঠাঁই দেখিনা, কলিদের বলি শোন
বাঁচতে শেখ্, যুদ্ধ কর,বলী হইসনা, মা হোস।
আরও পড়ুন
কুদরত রাহমান এর কবিতা / নকশী রুমাল
See more and read more
3 Comments